সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা, আপিল করবে মন্ত্রণালয় ৩০ একর জায়গা দখল করে মৎস্য নিধনের অভিযোগ ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ হত্যাকান্ড সদর হাসপাতালের কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সিলেটে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হাওরাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী উদ্যোগ নেয়া হবে : তোফায়েল আহমদ খান কাগজে বাস্তবায়িত হচ্ছে হাওরে ঘাস চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প! শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদন্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদন্ড পথে যেতে যেতে : পথচারী উন্নত দেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন : আনিসুল হক একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : মির্জা ফখরুল সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপনে সভা তিন বার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি আর্চ সেতুর কাজ ছাতকে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর ভস্মিভূত বিএনপি’র চূড়ান্ত মনোনয়নে মাহবুবুর রহমানকে মূল্যায়নের দাবি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জামায়াতকে মানুষ আর বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না : মির্জা ফখরুল দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলী কৃষিকে অন্তর্ভুক্তের দাবি শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা

‘কাগজে বাস্তবায়িত’ ঘাস চাষ প্রকল্প : হাওরের কৃষক কি পেলেন?

  • আপলোড সময় : ১৯-১১-২০২৫ ০৪:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১১-২০২৫ ০৪:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
‘কাগজে বাস্তবায়িত’ ঘাস চাষ প্রকল্প : হাওরের কৃষক কি পেলেন?
হাওরাঞ্চলের কৃষি ও প্রাণিস¤পদ খাতের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের জীবিকা নির্ভর করে গবাদিপশু, কাঁচা ঘাস ও মৌসুমী কৃষির উপর। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাস্তবতার সঙ্গে বেমানান পরিকল্পনা এবং মাঠপর্যায়ে দুর্বল তদারকির কারণে অনেক সময় বড় বড় সরকারি প্রকল্পও মাঠে সফলতা পায় না। সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় ‘ঘাস চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প’ তার উদাহরণ। ১১৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাগজে-কলমে সব কিছুই আছে, ঘাস চাষ, জার্মপ্লাজম নার্সারি, সাইলেজ প্রযুক্তি, হাজার হাজার কৃষকের প্রশিক্ষণ, এমনকি ৭৭ হাজার একর ঘাস চাষেরও হিসাব রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত কৃষকদের অনেকে দেশে নেই, কেউ জানেনই না তিনি ‘ঘাস চাষী’, কেউ পেয়েছেন শুধু প্রশিক্ষণ বা কিছু উপকরণ কিন্তু মাঠে ঘাস চাষ নেই। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, হাওরের বিশেষ ভূপ্রকৃতির কথা বিবেচনায় না রেখেই এই প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছিল। বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পানির নিচে থাকা ভূমিতে নিয়মিত ঘাস চাষ বাস্তবসম্মত নয় - এটা প্রকল্পের শুরুতেই বিবেচনা করা উচিত ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর পেরিয়ে যাচ্ছে, তবুও মাঠপর্যায়ে কোন বাস্তব সাফল্য নেই; উল্টো দেখা যাচ্ছে কাগজে সফলতার গল্প। যাদের নামে বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ ও উপকরণ দেখানো হয়েছে তারা নিজেরাই জানেন না কীভাবে এবং কেন তাদের নাম তালিকায় এলো। যদি প্রকল্পে প্রকৃত কৃষকই অংশগ্রহণ না করেন, ঘাস চাষ কোথায় হবে? আর যারা সামান্য প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাদের তদারকি, তথ্য সংগ্রহ বা ফলাফল মূল্যায়নের উদ্যোগও নেই। এটা নিছক প্রশাসনিক দুর্বলতা নয়, বরং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প তদারকির দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি। প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই মাঠপর্যায়ে কাজ মূল্যায়ন করা উচিত ছিল। প্রকল্প ব্যয়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকের প্রকৃত অবস্থা, প্রকল্পে তালিকাভুক্তদের সত্যতা এবং বাস্তব উপকারভোগীর সংখ্যা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন আছে। আমরা মনে করি, হাওরাঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হলে শুধুমাত্র কাগজে পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়, অভিজ্ঞতা, ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু এবং স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। নেপিয়ার বা হাইব্রিড ঘাস চাষের মতো উদ্যোগ সফল করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জমির উপযোগিতা, মৌসুমী পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ প্রযুক্তির ক্ষমতা এবং কৃষকের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর দাবি সরল- কাগজে নয়, বাস্তবে সফল প্রকল্প চাই। প্রাণিপুষ্টি উন্নয়নের নামে কোটি টাকার প্রকল্প কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকলে তার দায় শুধু বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নয়, তদারকির ব্যর্থতাও সমানভাবে প্রযোজ্য। আমাদের প্রত্যাশা- ভবিষ্যতের যে কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাস্তবতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে হাওরবাসীর জন্য কার্যকর উন্নয়ন নিশ্চিত করা হোক।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল

নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল